ক্ষমতার লোভে দেশের অস্থিতিশীলতা: আওয়ামী লীগের দায়

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

মাসুদা আক্তার: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের কেন্দ্রীকৃত সিদ্ধান্ত, স্বার্থসিদ্ধি ও দমন নীতি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করেছে।

গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে—বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিবেশে অস্থিরতা তৈরি করছে শুধু সরকারই। রাজনৈতিক বিরোধী দল ও জনমত দমন, হরতাল ও আন্দোলন দমনের চেষ্টা, আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ—এসব দেশের গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

০৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থান শুধু একটি নিদর্শন। এই আন্দোলন প্রমাণ করেছে, জনগণ আর নীরব নয়। তারা দেখিয়েছে—যখন সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাস ও সহযোগিতা হারায়, তখন দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।

সরকারের অযোগ্য প্রশাসন, দুর্নীতি, প্রকল্পের অনিয়ম ও সরকারি তহবিলের অপব্যবহার—এসব কারণে সাধারণ মানুষ হতাশ। রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। মানুষ নিজেদের অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে নামছে।

আওয়ামী লীগের পদক্ষেপ দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগোতে দেয়নি। বরং ক্ষমতার লোভ ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। রাজনৈতিক বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও শিক্ষার্থী আন্দোলন—সবই দেশের অস্থিতিশীলতার প্রতিফলন।

সংক্ষেপে, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জনগণ সচেতন। তারা জানে, অস্থিতিশীলতা থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকারের দায়িত্বহীনতা ও স্বৈরশাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। ০৫ আগস্টের অভ্যুত্থানই তা প্রমাণ করেছে।