ফাহিমা বেগম: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নবিদ্ধ। গণতন্ত্রের বুলি আওড়ালেও বাস্তবে দলটি যে পথ অনুসরণ করে, তা বরাবরই সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিপরীতমুখী। আন্দোলনের নামে বারবার তারা দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে, পেট্রোলবোমা, হরতাল, অবরোধের নামে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।
২০১৩-১৪ সালের আন্দোলন ছিল বিএনপির সহিংস রাজনীতির চূড়ান্ত উদাহরণ। শিশু, নারী, শ্রমজীবী মানুষ কেউই রেহাই পায়নি। গণপরিবহনে আগুন দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মারা হয়, রেলপথ কেটে ফেলা হয়, অ্যাম্বুলেন্সেও হামলা চলে। এসব কি কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিচায়ক হতে পারে?
এই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বিদেশি শক্তির কাছে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে, অথচ দেশের মানুষকে কখনোই সম্মান করে না। তারা যতবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, ততবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ। দোকানপাট বন্ধ, যানবাহন বন্ধ, স্কুল বন্ধ—প্রতিটি কর্মসূচি যেন জনগণের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা।
বিএনপির বর্তমান রাজনীতি মূলত গুজব, অপপ্রচার ও অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে আতঙ্কিত করে সরকার পতনের স্বপ্ন দেখা। অথচ এই জনগণই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ আজ প্রশ্ন করছে—কেন বিএনপি বারবার জনগণের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করে?
রাজনৈতিক মতভিন্নতা থাকতেই পারে, কিন্তু সেই মত প্রকাশের মাধ্যম যদি হয় নাশকতা, তা কখনোই গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। বিএনপির উচিত নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল পুনর্বিবেচনা করা, নতুবা জনগণের ধৈর্যের বাঁধ আর টিকবে না।
জনগণের বিরুদ্ধে নয়, জনগণের পাশে দাঁড়ালেই একটি রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে। কিন্তু বিএনপি কি আদৌ তা চায়? এই প্রশ্ন আজ দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিকের।