কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ছাত্রদলের এক নেতা তার বন্ধুর হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৬), যিনি দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ
ভুক্তভোগী তরুণী রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা পরবর্তীতে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়েতে রূপ নেয়। এই উপলক্ষে তারা সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুর্গাপুরে ঘুরতে যান এবং ফয়সালের পরামর্শে বিরিশিরি এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তরুণীর হবু স্বামী হোটেল থেকে বের হয়ে খাবার কিনতে যান। এই সুযোগে ফয়সাল পুলিশকে ফোন করে তার বন্ধুকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে গ্রেপ্তার করান। পরে ফয়সাল হোটেল কক্ষে প্রবেশ করে তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পুলিশি অভিযান ও গ্রেপ্তার :
পুলিশ ভুক্তভোগীর হবু স্বামীর কাছ থেকে তথ্য পেয়ে হোটেলে গিয়ে দরজা বন্ধ অবস্থায় তরুণীর চিৎকার শুনে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া :
এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এটি সমাজে নারীর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছে।