মাসুদা আক্তার: কথিত আছে , শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ক্যান্টনমেন্টে ৬০০ এর ও বেশি লীগের নেতা ছিলো ।তারা সবাই মোটামুটি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে । কেউ ইমার্জেন্সি পালিয়েছিলো , খুব দ্রুত । আবার কেউ অনেক দিন আত্মগোপনে থাকার পর সময় নিয়ে পালিয়েছে । ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর , ০৫ আগস্টের
প্রায় ৪২ দিন পর বিবিসি বাংলা রিপোর্ট করে —এখনো সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ নেতা—মন্ত্রীরা । এই পালিয়ে যাওয়া হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক।কে কাকে কত টাকা খাইয়ে চুক্তি করে ভারত অবধি পৌঁছেছে সে হিসেব আমি করবো না l
গাড়ি থেকে নেমে এক পা না ফেলতে পারা মন্ত্রীরা কিভাবে সীমান্ত অবধি পৌঁছেছে , সেই প্রশ্নও বা করবো কোথায় ? তারা কিভাবে পালিয়েছে সেটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হলেও অনুমান করা টাফ না ।”নিকেলেস প্যারিসে , মঈদুল ঢাকাত….
ওবায়দুল কাদের , শেখ ফজলের নূর তাপস, আ হ ম মুস্তাফা কামালরা আছে সিঙ্গাপুরে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বেলজিয়ামে , আসাদুজ্জামান খানরা বিদেশে আরামসে বসবাস করতেছে । অধিকাংশই এলাকার নেতারাও ভারতে বিলাস বহুল লাইফ লিড করতেছে ।এদের কাউরেই হাসিনা কপ্টারে করে সাথে নিয়ে যায় নি । এরা দেশ থেকে সহযোগিতা নিয়ে পালিয়েছে ।
‘নুসরাত ফারিয়া বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছে হত্যা মামলার সহযোগী হিসেবে । মামলা হয়েছে ভাটারা থানায়। অভিযোগ — নুসরাত ফারিয়া এই গণহত্যায় অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগিতা করেছে । অভিয়াসলি নুসরাত ফারিয়া অভিযুক্ত হলে তাকে গ্রেফতার করবে, সেটাই লজিক। কিন্তু এই হত্যা মামলায় আসামী আছে আরও ২৮৩ জন । কয়েকটা পরিচিত মুখের নাম-ই বলি , আহসান হাবিব ভাবনা , অপু বিশ্বাস , জায়েদ খান , নিপুণ আক্তারসহ অনেকেই । তারা বাইরে কেনো? ( তথ্যসূত্র — ১)
আপনি বলতে পারেন , তারা তো দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে না । ওকে , ইন দ্যাট কেজ ক্লরিফাই মাই ডাউট ,
“তাহলে দুইদিন আগে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ খান মামলা থাকা সত্ত্বেও আরামসে চলে গেলো কিভাবে? ২০২৫ সালে ১৪ জানুয়ারি , কিশোরগঞ্জে “জুলাই গণহত্যায়” খুনীদের অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে একটা মামলা করা হয় । সেই মামলায় আব্দুল হামিদ খান তিন নম্বর আসামী । এই মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয় নি। (তথ্যসূত্র— ২)
তার আগেই আব্দুল হামিদ খান পগারপার । তাহলে আমাকে বলেন , নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতার করা হলে আব্দুল হামিদখানকে কেনো গ্রেফতার করা হয় নি? সাপের মাথা ভর্তি বিষ , তাই সাপের মাথা টাচ করা গেলো না , লেজ নিয়া নাড়াচাড়া কইরা আমরা অর্গাজমের সুখ নি । রাবণের দশ মাথা , সেই দশ মাথায় ফাঁসির দড়ি কিভাবে ঝুলাতে হয় সে উপায় আমাদের জানা নেই— সে সাহসও আমাদের নেই । আমরা তাই এক মাথাওয়ালা আসামীকেই ধরে এনে গর্দান নামিয়ে দি । রঙ্গমঞ্চেই এই তামাশাতেই যতো মজা । মাঝখানের সময়টাতে একটা লাইন খুব ভাইরাল হয়েছিলো , ‘ দুনিয়া যদি হয় রঙ্গমঞ্চ , বাংলাদেশ তার সদর দফতর …
আমি বলি , আর আমাদের প্রশাসন হইলো এই সদর দফতরের ভেতর রঙ্গমঞ্চের আরেক সদর দফতর , ২৪ ঘন্টা সার্ভিস , আনলিমিটেড শো!