কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা মো. ইব্রাহীম সিকদারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে অভিযোগকারী প্রবাসীর স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে ভুক্তভোগী নারী মুলাদী থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। একই দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বিয়ের দাবিতে নিজের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি।
অভিযুক্ত মো. ইব্রাহীম সিকদার নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এবং চরনাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর ইব্রাহীম এলাকায় ফেরার পর নানা প্রলোভনে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় ইব্রাহীম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। আমি সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিই, যা তিনি কৌশলে নিয়ে নেন। এরপর ঢাকায় একটি বাসায় প্রায় তিন মাস আটকে রেখে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এতে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। বর্তমানে তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।”
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় ” ছাত্রদলের নেতা হওয়ার কারনে তার অন্যায় দেখেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। এ সন্ত্রাসীর সর্বোচ্চ বিচার আশা করেন গ্রামবাসী”।