মাসুদা আক্তার: শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক দশকে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছে, তবে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত প্রগ্রেস থাকলেও এই উন্নয়নের সুফল সবার মাঝে সমানভাবে পৌঁছায়নি। সামাজিক বৈষম্য ও দরিদ্রতা এখনও সেখানেই রয়ে গেছে।
গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্রের স্বপ্নকে হাতিয়ার করে বিরোধী দল, সংবাদমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ওপর অবিচ্ছিন্ন দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে।
বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। সাংবাদিকরা, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক বিরোধীরা সরকারকে সমালোচনা করায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের উপর সরকারের প্রভাব বেড়েছে, যার ফলে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় সুযোগ-অসুবিধার ভেদ বাড়ছে।
কৃষক ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী সামাজিক নিরাপত্তার বাইরে থেকে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের সমস্যা থেকে নজর সরানো হচ্ছে।
বেকারত্ব ও তরুণদের কর্মসংস্থানের অভাব দীর্ঘ সময়ের সমস্যা হলেও সরকার তা মেটাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সরকারের পরিকল্পনা অসফল। সরকারি প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও অর্থ অপচয়ের খবর আসছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছু জায়গায় দুর্বল; সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনে সঠিক পরিকল্পনার অভাব দেখা যায়।
এই সব ইস্যুতে সরকার জনগণের সঙ্গে স্বচ্ছ যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনমনে অবিশ্বাস ও হতাশা গড়ে উঠছে।
দেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে এই সংকট মোকাবেলায় শাসকগোষ্ঠীকে আরো উদার, অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহি হতে হবে।