বিএনপি কি রাজনৈতিক দল,নাকি সন্ত্রাসীদের আখড়া?

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

ইয়াছমিন বেগম: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) একসময় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু বিগত এক-দেড় দশকে দলটির কার্যকলাপ, নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা ও মাঠপর্যায়ের কর্মীদের আচরণে প্রশ্ন উঠেছে—বিএনপি কি আদৌ আর রাজনৈতিক দল হিসেবে রয়ে গেছে, নাকি এটি এখন সন্ত্রাসীদের এক আখড়ায় পরিণত হয়েছে?

রাজনৈতিক মতপার্থক্য গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, কিন্তু বিএনপির রাজনীতি বরাবরই সহিংস ও ধ্বংসাত্মক প্রবণতায় ভরপুর। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বদলে আগুন-সন্ত্রাস, পেট্রোল বোমা হামলা, পুলিশ-প্রশাসনের উপর আক্রমণ এবং সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে তোলাই যেন তাদের আন্দোলনের প্রধান কৌশল।

বিশেষ করে ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সহিংস আন্দোলনে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভোট কেন্দ্র এমনকি অ্যাম্বুলেন্সেও আগুন দেওয়া হয়। এই বর্বর কর্মকাণ্ডে দেশের সাধারণ জনগণ ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, খুনখারাবি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে, যেগুলোর প্রমাণ মিলেছে নানা সময়ে।

রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর জ্বালাও-পোড়াওকে হাতিয়ার করে, তাদের কি আদৌ রাজনৈতিক দল বলা যায়? নাকি এরা সংগঠিত অপরাধচক্র মাত্র?

দেশের সাধারণ মানুষ এখন বিএনপিকে ভয় করে, শ্রদ্ধা নয়। বিএনপির নেতৃত্ব যদি সত্যিকার অর্থে রাজনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে চায়, তবে তাদের আগে এই সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক চক্র থেকে দলকে মুক্ত করতে হবে। না হলে ইতিহাসে তারা কেবলই সন্ত্রাসের আরেক নাম হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ চায় শান্তি, জ্বালাও-পোড়াও নয়।
জনগণ চায় উন্নয়ন, চাঁদাবাজি নয়।
বিএনপিকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজনীতি করবে, না সন্ত্রাস?

Leave a Reply