অহি আহমেদ: সবার হিসাব বনাম ভারতের হিসাব
সবার ধারণা ছিল—এবার বিএনপি আসছে ক্ষমতায়, আর জামাত হবে প্রধান বিরোধী দল।
জামাতের তাতে আপত্তি ছিল না।
*—কারণ কিছু সময় পেলে সংগঠন গোছানো, মানুষ তৈরি করা, নির্যাতনের ক্ষত সারানো—সব সম্ভব হতো।
- পরবর্তী নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতা—এটাই ছিল স্বাভাবিক হিসাব।
কিন্তু ভারত আগেই কষে ফেলেছিল ভিন্ন সমীকরণ।
র-এর ব্ল্যাকমেইল অপারেশন
- বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সামনে হাজির করা হলো গোপন রেকর্ড।
- বিদেশি লবির সঙ্গে বৈঠকের ছবি।
- নারীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য।
- আওয়ামী নেতা ও ভারতীয় এজেন্টদের সঙ্গে মদ্যপানের ভিডিও।
- অডিও কল রেকর্ডের স্তূপ।
এসব ব্ল্যাকমেইলের চাপে বিএনপি রাতারাতি ভারতমুখী হয়ে গেল।
ভারতের সবচেয়ে বড় ভয়
- জামাত যদি প্রধান বিরোধী হয়, পরের বার নিশ্চিত তারা সরকার গঠন করবে।
- তাই আবার বাজানো হলো ভাঙা রেকর্ড—“১৯৭১-এর গল্প”।
- কিছু সুশীল তরুণ ও মিডিয়াকর্মী সুর মেলালেও,
জনগণ আজ জামাতকে বিরোধী নয়, বিকল্প সরকার হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
বিএনপির ফাঁদে পা দেওয়া - মাহমুদুর রহমান বারবার সতর্ক করেছেন—
*“ভারতের দালালি ছেড়ে জনগণের ওপর আস্থা রাখুন।” - খালেদা জিয়াকেও নসিহত করেছেন।
- কিন্তু বিএনপির ভেতরে বড় অংশ ভারতপন্থী
আজ বিএনপির ভেতরও একই ভারতপন্থী চরিত্র স্পষ্ট।
ফলাফল দাঁড়িয়েছে
- বিএনপির প্রধান শত্রু: ইসলাম।
- বিএনপির প্রধান শত্রু: জামাত।
- বিএনপির প্রধান হাতিয়ার: ১৯৭১।
- বিএনপির প্রধান সম্পদ: সংবিধান ও রাষ্ট্রপতি।
- বিএনপির প্রধান টার্গেট: শুধু নির্বাচন।
জনগণের স্বপ্ন
- ৫ আগস্ট জনগণ যে মুক্তি চেয়েছিল—তা হলো ভারতীয় তাঁবেদারি থেকে মুক্তি।
- জনগণ চায়:
- বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, সংসদ—কোনো বিদেশি শক্তি যেন আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।
- রাষ্ট্রে এমন সংস্কার হোক, যাতে দেশের সিদ্ধান্ত কেবল দেশের মানুষই নেয়।