কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিএনপির তথাকথিত একটি ছাত্রসংগঠন। ছাত্রসংগঠন হলেও ছাত্রদের নিয়ে তাদের কর্মসূচি,পরিকল্পনা ও চিন্তা একেবারে নেই বললেই চলে। যেখানে একটি ছাত্রসংগঠনের প্রধান কাজ ই হলো শিক্ষার্থীদের সেবা করা,তাদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা সেখানে ছাত্রদল যেন মেতে উঠেছে অমৈতিক সব কার্যকলাপে।
গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ থেকে তারা যে কত ভয়ানক কাজসমূহ করেছে তা কল্পনাতীত। তারা শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের পরিবর্তে মেতে উঠেছে হত্যা,মামলা,রাহাজানি,চাঁদাবাজি আর ধর্ষের মতো অপরাধে। কিন্তু তারা এতো অপকর্ম দিনের আলোতে করলেও প্রশাসন কেন জানি তাদেরকে আইনের আওতায় আনছে না তা গভীর উদ্বেগের জন্ম দেয়।
প্রতিদিন সংবাদপত্রে চোখ বুলালেই তাদের অনৈতিক কার্যকলাপ আর অপরাধের দৃশ্য চোখে পড়ে। সাধারন ব্যবসায়ী যারা দিন আনে দিন খায়, ছোট্ট ব্যবসাই যাদের পরিবার চালানোর একমাত্র সম্বল সেখানে ছাত্রদলের ছাত্রনেতা গিয়ে চাঁদা দাবি করে,ব্যবসায়ীকে হুমকি দেয় এমনকি এ ও শোনা গেছে তারা কয়েকজন ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ায় খুন পর্যন্ত করেছে। অথচ একটা ছাত্রসংগঠনের কাজ এগুলো নয়!
গত শনিবার সংবাদপত্রে একটি হেডলাইন দেখলাম ‘ উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতা এক কলেজ ছাত্রী ও তার বাবাকে বিবস্ত্র করে এবং ব্যাপক মারপর করে। ঐ শিক্ষার্থীর সাথে অনেক বাজে ব্যবহার করে।
ভাবা যায় একজন ছাত্রনেতা একজন নারীর শ্লীলতাহানি করছে? এটা কেমন ছাত্ররাজনীতি? এই ছাত্ররাজনীতির শেষ কোথায়? প্রশাসন কখন সজাগ হবে? বিএনপির দাসত্ব থেকে প্রশাসন কখন বের হয়ে আসবে? বাংলাদেশের মানুষ কখন এদের থেকে মুক্তি পাবে?
এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারন মানুষের মনে।