ইয়াহইয়া আহমদ তানহার: যুবদলের শীর্ষ নেতা সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ক্রমাগত বাড়ছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের নীরবতা সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন তুলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মকসুদ ও তার সহযোগীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক টাকা আদায়, ছিনতাই এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। অনেকেই জানান, তারা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না, কারণ এর প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা বা হয়রানির শিকার হতে হবে। এমনকি ব্যবসায়ীরাও চাঁদাবাজির ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছেন।
অপরাধের এমন উত্থানের পেছনে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। প্রশাসনের নীরবতা অপরাধীদের আরও উৎসাহিত করছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন কেন মকসুদ ও তার দলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না? স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন, যা সাধারণ মানুষের মনে আরও সন্দেহের সৃষ্টি করছে।
অনেকে মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রভাব বা দুর্নীতির কারণেই প্রশাসন নীরব রয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আইনের শাসনের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। নইলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।