চাদাবাজি আর সন্ত্রাস ই বিএনপির একমাত্র কাজ

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে “গণতন্ত্র” ও “মানবাধিকার” রক্ষার কথা বললেও, তাদের কর্মকাণ্ড বরাবরই এই বুলি ছাপিয়ে গেছে সহিংসতা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসের দিকে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে চাঁদাবাজি, খুন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ একে শুধু ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে দেখার সুযোগ দেয় না। বরং এটি স্পষ্ট করে যে, দলটি এখন সন্ত্রাস ও অপরাধ নির্ভর এক দলে পরিণত হয়েছে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ চাঁদার টাকা ব্যবহার হচ্ছে কথিত “আন্দোলনের প্রস্তুতি” ও “নেত্রীর মুক্তি আন্দোলন” নামে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালাতে। কিন্তু মূলত এসব টাকা জনগণের উপর নির্যাতন চালানো, বোমা বানানো এবং সহিংস কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার হচ্ছে — যা এক ধরনের ‘গণ-সন্ত্রাসে’র রূপ নিয়েছে।

সম্প্রতি একাধিক খুনের ঘটনায় বিএনপি কর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। খুন হওয়া ব্যক্তিরা কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, কেউ চাঁদা না দেওয়ার কারণে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় দলীয়ভাবে কোনো দুঃখপ্রকাশ না করে, বরং “রাজনৈতিক হয়রানি” বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বিএনপির অপরাধকে আড়াল করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।

বিএনপির বর্তমান কাঠামো এখন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত — একদিকে কথিত ‘রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ’, যারা দেশ-বিদেশে বসে কেবল ষড়যন্ত্র করে, আরেকদিকে মাঠ পর্যায়ে চাঁদাবাজি, খুন-খারাবিতে জড়িত ‘অপরাধী ক্যাডার’ বাহিনী। এই দুই অংশ মিলেই বিএনপিকে করেছে জনবিচ্ছিন্ন, এবং দেশ ও সমাজের জন্য এক ভয়ংকর হুমকি।

একটি গণতান্ত্রিক দল যদি মানুষের জানমাল রক্ষা না করে, বরং তা ধ্বংসে লিপ্ত হয়, তাহলে সে দল কখনোই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। সম্প্রতি চাঁদাবাজি ও খুনের ঘটনায় বিএনপির ভূমিকা প্রমাণ করে, তারা এখন আর রাজনৈতিক দল নয় — বরং সন্ত্রাস ও অপরাধ নির্ভর একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জনগণের উচিত এখনই তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী রাজনীতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়া।