সিলেটে পথচারীর পকেটে মাদক ঢুকিয়ে পুলিশি হয়রানি: নিরীহ খলিল এখন মামলার আসামি

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

মোছা:ফাতেমা বেগম: সিলেটের বন্দর বাজারে ব্যস্ত একটি সড়কে এক পথচারীর পকেটে মাদক ঢুকিয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি খলিল (৩২), যিনি পেশায় একজন দিনমজুর কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তল্লাশির নাম করে তার পকেটে পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাদক রাখা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বিকেলে সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খলিল প্রতিদিনের মতো কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকধারী কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে একজন সদস্য তার পকেট থেকে একটি ছোট প্যাকেট বের করে বলেন, “তোর কাছে মাদক আছে!”

খলিল অবাক হয়ে বলেন, “আমি এসব কিছুই জানি না। আমি দিনমজুর মানুষ, এইসব কোথা থেকে আসবে?” কিন্তু তার কথা আমলে না নিয়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক মজনু মিয়া বলেন, “আমি সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, দেখলাম ওর পকেটে কিছু ঢুকায়। তারপর বলে পাইলাম।”

খলিলের পরিবারের দাবি, এটি একটি চাঁদাবাজি ও হয়রানিমূলক ঘটনা। তার স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী সোজা মানুষ, কোনো খারাপ পথে যায় না। এখন পুলিশ তার জীবনটা নষ্ট করে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন, প্রমাণ সাপেক্ষেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবিও স্পষ্ট—এই ধরনের সাজানো মামলায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পুলিশের ওপর নজরদারি বাড়ানো জরুরি।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও খলিলকে ন্যায্য বিচার দেওয়ার দাবিতে স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ শুরু করেছে।