জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা: বিএনপির অন্ধকার অধ্যায়

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

ইয়াহইয়া আহমদ তানহার: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির উত্থান যেমন আলোচিত, তেমনি তাদের ক্ষমতাকালীন কর্মকাণ্ডও বারবার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। বিশেষ করে বিএনপির ২০০১-২০০৬ মেয়াদ ছিল চরম রাজনৈতিক বৈরিতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থানের ভয়াবহ এক অধ্যায়। এই সময়টিকে দেশের জনগণ মনে রাখবে ভয়, আতঙ্ক ও অস্থিরতার সময় হিসেবে।

বিএনপি সরকার আমলে জঙ্গি সংগঠনগুলো যেমন: জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB), হরকাতুল জিহাদ (HuJI)-এর মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্টে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা ছিল সেই উগ্রবাদী শক্তির এক সুপরিকল্পিত দৃষ্টান্ত।

এই হামলাগুলোর পেছনে বিএনপি সরকারের নিরবতা ও উদাসীনতা ছিল সন্দেহজনক। বরং অনেকক্ষেত্রে তদন্তে উঠে এসেছে—সরকারেরই কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

সরকারি মদদে জঙ্গিদের প্রশ্রয় পাওয়ায় তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালিয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, সিরিজ বোমা হামলা, সুপ্রিম কোর্টে বোমা বিস্ফোরণ, আসাদ গেট গ্রেনেড হামলা, শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা—সবই ঘটেছে বিএনপি শাসনামলে।

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের রক্ষা করার অপচেষ্টা করেছিল তৎকালীন সরকার। এমনকি, অনেক জঙ্গিকে রাজনৈতিক চাপে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

এই অধ্যায় প্রমাণ করে, বিএনপি শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতিতে নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও বিপর্যস্ত করতে পিছপা হয়নি। তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে তারা জঙ্গিদের ব্যবহার করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।

জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা: বিএনপির অন্ধকার অধ্যায়—এই শিরোনাম ইতিহাসের বাস্তবতা তুলে ধরে। এ অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে, যেন কোনো অপশক্তি আর কখনও জঙ্গিবাদের ছায়ায় দেশকে বিপদে ফেলতে না পারে।