ইয়াহইয়া আহমদ তানহার: সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকায় ভয়াবহ একটি ঘটনায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কব্জি কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। শিকার ব্যবসায়ী তোরাব দাবি করেছেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা কাইয়ূম চৌধুরী ও তার সহযোগীদের চাঁদার দাবি না মানায় এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। ঘটনাটি এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত চলমান রয়েছে।
তোরাব আলী জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাতে তার দোকানে একদল সশস্ত্র লোক ঢুকে তাকে চাঁদা দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। “আমি প্রতিবাদ করতেই তারা আমার হাতের কব্জি কেটে দেয়,” বলতে গিয়ে তিনি ভুক্তভোগী আরও জানান, হামলাকারীরা সরাসরি বিএনপি নেতা কাইয়ূম চৌধুরী এর নাম উল্লেখ করে হুমকি দিয়েছিল। ঘটনার পর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তার অবস্থাকে স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্ব ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে একে “সাজানো নাটক” বলে উল্লেখ করেছেন। সিলেট জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন শাহী বলেন, “এটি সরকার ও আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দলটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।”
সিলেট কোতওয়ালি থানার ওসি মোখলেসুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর করা মামলার ভিত্তিতে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, “সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায়” এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির “সন্ত্রাসী কার্যকলাপ” এরই মধ্যে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি নথি ও ভিডিও ফুটেজ viral হয়েছে, যাতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
মানবাধিকার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান [নাম] ঘটনাটিকে “জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ” আখ্যায়িত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।”
ঘটনাটি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই এখন চাঁদার ভয়ে দোকান বন্ধ রাখছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও দ্রুত তদন্তই পারে এই সন্ত্রাসী চক্রের মূলোৎপাটন করতে।