ইয়াহইয়া আহমদ তানহারঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড, নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত এবং জনগণের সাথে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিএনপি ক্রমশ নিজেকে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।
বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় দাবি করা হয়েছিল এটি হবে গণমানুষের কণ্ঠস্বর। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় দলটি পরিবর্তিত হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি, স্বৈরাচারী tendencies এবং গণবিরোধী সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপি জনসমর্থন হারিয়েছে।
জনগণের সাথে বিচ্ছিন্নতা
১. **হরতাল-অবরোধের রাজনীতি: সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত করে রাজনৈতিক আন্দোলন চালানোয় বিএনপি জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
২. সহিংসতার পথ: পেট্রোল বোমা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের সম্পদ ধ্বংস করে দলটি নিজেদেরই ক্ষতি করছে।
৩. নেতৃত্বের যোগাযোগহীনতা: দলের উচ্চপদস্থ নেতাদের অধিকাংশই এখন সাধারণ কর্মী বা সমর্থকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন না।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। দলীয় সভাপতি ও মহাসচিবের পদ বংশানুক্রমিকভাবে চলে আসছে। নেতৃত্ব নির্বাচনে সদস্যদের ভোটাধিকার কার্যত নেই।
দেশের বর্তমান প্রধান সমস্যা যেমন – মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, স্বাস্থ্যসেবা – এসব ইস্যুতে বিএনপির কোনো কার্যকর ভূমিকা বা বিকল্প নীতি নেই। বরং তারা শুধু সরকারকে উৎখাতের রাজনীতিতে মগ্ন।
বিএনপির অনেক নিষ্ঠাবান কর্মী ও সমর্থক এখন হতাশ। তারা মনে করেন, দলটি আসলেই জনগণের দল ছিল কিনা তা নিয়ে তাদের নিজেদেরই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপিকে প্রকৃত জনগণের দল বলা কঠিন। জনমুখী নীতি, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং সহিংসতা ত্যাগ না করলে দলটি ভবিষ্যতে আরও বেশি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।