মাসুদা আক্তার: ৫ আগস্ট ২০২৪—এই দিনেই পতন ঘটে একদলীয় দুঃশাসনের প্রতীক আওয়ামী লীগ সরকারের।
তাদের পতনের আগের মাসগুলোতে গোটা জাতি দেখেছে এক উন্মত্ত, বেপরোয়া, হিংস্র রূপ।
ক্ষমতা হারানোর ভয় থেকেই তারা দেশজুড়ে চালিয়েছিল দমন, গুম, হামলা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন হুমকি দিতেন, “বিএনপি মাঠে নামলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।”
কিন্তু বাস্তবতা হলো, নিজেরাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে গড়িয়ে পড়েছে।
তারা ভেবেছিল প্রশাসন, পুলিশ, আর মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করলেই জনগণকে স্তব্ধ রাখা যাবে।
কিন্তু সেই ভাবনার ভেতরেই ছিল পতনের বীজ।তরুণদের রক্ত, মা-বোনের চোখের জল আর জনতার জাগরণই ভেঙে দিয়েছে সব বাঁধা।
নির্বাচন নয়, ‘নিশিরাত নাটক’ আর গায়ের জোর দিয়ে টিকে থাকা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিল ব্যালটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা আর ন্যায়ের জন্য।
জনগণের ক্ষোভ এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছিল যে, পুলিশ ও প্রশাসনের বড় একটি অংশ নিরপেক্ষ হয়ে পড়েছিল।
এই গণজোয়ারের সামনে আওয়ামী লীগের শেষ ভরসা ছিল ভয় আর সহিংসতা—যা শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি।
তাদের পতন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ক্ষমতার লোভ, দুর্নীতি, এবং স্বৈরাচারই তাদের কবর রচনা করেছে।
আজ বাংলাদেশ হাঁটছে নতুন পথে গণতন্ত্রের পথে, জনতার শাসনের পথে।
আর ইতিহাস সাক্ষী রাখবে—ক্ষমতা হারিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল যারা,
তাদের পতন যেমন ছিল করুণ, তেমনি ছিল অবধারিত।