কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহু বেদনাদায়ক ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছে, কিন্তু সম্প্রতি ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায় বিএনপি কর্তৃক সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে সেই সব ঘটনার চেয়েও জঘন্য এবং অমানবিক। একটি স্বাধীন দেশে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা শুধু আইনের চরম অবমাননাই নয়, মানবিকতাকেও পদদলিত করার নামান্তর।
এই ঘটনাটি প্রমাণ করে, বিএনপি এখন আর কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়—বরং একটি সহিংস চক্র, যারা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে মানুষের জীবনের কোনো মূল্যই দিচ্ছে না। যারা ভিন্নমত পোষণ করে, যারা শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কথা বলে—তাদের কণ্ঠরোধ করতে বিএনপি বেছে নিচ্ছে সন্ত্রাস, রক্তপাত ও হত্যার পথ।
মিডফোর্ডে এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় পরিকল্পিতভাবে। ভয়াবহ হামলার শিকার ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা কোন অপরাধে এমন নির্মমতার শিকার হলেন? তাদের “অপরাধ” একটাই—তারা হয়তো আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারপন্থী ছিলেন, অথবা সম্ভবত গণতন্ত্র ও শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। আর সেটিই হয়ে উঠেছে তাদের মৃত্যুদণ্ডের কারণ! এটা কি কোনো সভ্য সমাজের নমুনা?
বিএনপির এই বর্বর আচরণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের সেই দুঃসহ দিনগুলো, যখন তারা পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুকে পুড়িয়ে মারার নোংরা রাজনীতিতে নেমেছিল। আজও কি তারা সেই পথেই হাঁটছে না?
যে সমাজে মানুষ কথা বলার, চিন্তা করার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পায় না, সেই সমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ে। আর বিএনপির বর্তমান কর্মকাণ্ড ঠিক সেই ধ্বংসযজ্ঞের অংশ। তারা একদিকে গণতন্ত্রের বুলি আওড়ায়, আর অন্যদিকে গণহত্যার আয়োজন করে—এ এক ধরনের ভয়ংকর ভণ্ডামি।
রাষ্ট্র, প্রশাসন এবং সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান, এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন হয়। অপরাধীরা যেন কোনো রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রক্ষা না পায়। এ ধরনের ঘটনা যদি বারবার ক্ষমার অযোগ্য থেকে যায়, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সন্ত্রাসপ্রবণ বাংলাদেশকেই উত্তরাধিকার হিসেবে পাবে।
মিডফোর্ডে যা ঘটেছে, তা কেবল একটি ব্যক্তির মৃত্যুই নয়—তা আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সভ্যতার ওপর সরাসরি হামলা। এ ঘটনা যুগের নিকৃষ্টতম, এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি।
বিএনপির এমন অপকর্ম বাংলাদেশকে কোন পথে নিয়ে যাবে তা আমরা জানিনা তবে এটা সত্যি যে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিএনপির চেয়ে যোগ্য দল আর কেউ নেই।
তাই এখনই সময় বিএনপির চাদাবাজি,সন্ত্রাস,হত্যার রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নেয়া।
