বিএনপি নেতা-কর্মীদের মব সহিংসতায় দেশে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

অহি আহমেদ: দেশজুড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মব সহিংসতায় সাধারণ মানুষ হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, আন্দোলনের নামে বিএনপি কর্মীরা প্রকাশ্যে মব তৈরি করে প্রতিপক্ষ কিংবা নির্দোষ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করছে। এতে ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

কুমিল্লায় যুবক খুন
শুক্রবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি বাজারে হৃদয় (২৮) নামের এক যুবককে বিএনপি কর্মীরা “আওয়ামীপন্থী” সন্দেহে ধরে ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৫০-৬০ জন বিএনপি নেতা-কর্মী প্রথমে বাজারে মিছিল করে আসে, এরপর হৃদয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। বেধড়ক মারধরের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। নিহতের পরিবারের দাবি—হৃদয় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তিনি কেবল একজন ব্যবসায়ী।

গাজীপুরে দফায় দফায় হামলা
একইদিন গাজীপুরে বিএনপি কর্মীদের হাতে দুই পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, সেখানে দলীয় মিছিল শেষে বিএনপি নেতা-কর্মীরা কয়েকজনকে “সরকারের লোক” বলে চিহ্নিত করে গণপিটুনি দেয়। আহতরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বগুড়ায় গৃহবধূর মৃত্যু
বগুড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বিএনপি কর্মীদের মিছিলের সময় ভয়ে পালাতে গিয়ে চাপা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা এলাকায় ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও কয়েকজনকে টার্গেট করে মারধর করে। এসময় আতঙ্কে ছুটোছুটি করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটে।

প্রশাসনের বক্তব্য
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, “বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে মব তৈরি করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে আক্রমণ করছে। ইতোমধ্যেই কুমিল্লা, গাজীপুর ও বগুড়ায় তিনটি মামলা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে।”

মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তারা বলছে, “রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নিরীহ মানুষকে মব দিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর ফলে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে।”

বিশ্লেষকদের মত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি আন্দোলনে সহিংসতার পথ বেছে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা বলছেন, “যখন রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক কর্মসূচির পরিবর্তে মব ও সন্ত্রাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, তখন রাষ্ট্র ও সমাজ উভয়ই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।”

Leave a Reply