ডাকসু নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি চাঁদাবাজির কঠিন জবাব

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

অহি আহমেদ: সাম্প্রতিক ডাকসু নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি শুধু একটি রাজনৈতিক ব্যর্থতা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। বছরের পর বছর চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব আর আধিপত্যের রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার ফলেই আজ বিএনপিকে ভোটের মাঠে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
চাঁদাবাজি ও স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতি

বিএনপি-ঘরানার ছাত্রনেতারা বহুদিন ধরেই রাজনীতির নামে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি চালিয়ে এসেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার বদলে তারা নিজেদের গোষ্ঠী ও সিন্ডিকেটকে শক্তিশালী করতেই ব্যস্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে এই চাঁদাবাজির সংস্কৃতি চলতে থাকায় আস্থার জায়গা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। ফলে ভোটের বাক্সে গিয়ে তরুণরা তাদের বিরুদ্ধে কঠিন রায় দিয়েছে।

একই চিত্র দেখা যায় জাতীয় রাজনীতিতেও। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর বিএনপি জনগণকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ ও ক্ষমতার রাজনীতিতে ডুবে যায়। মাঠে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু ক্ষমতা দখলের কৌশল নিয়েই তারা ব্যস্ত থাকে। তাই জনগণও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
পরিবর্তিত সময় ও নতুন প্রজন্ম

একটা সময় ছিল, ভোট মানেই ছিল ধানের শীষ আর নৌকা। মুরব্বিরা যে দলকে ভোট দিতে বলতেন, ঘরের সবাই তাই-ই দিত। কিন্তু সেই যুগ এখন অতীত। আজকের তরুণ প্রজন্ম হাতে স্মার্টফোন নিয়ে প্রতিটি খবর যাচাই করছে। মুহূর্তের মধ্যে জানা যাচ্ছে কে চাঁদাবাজি করছে, কে জনগণের কথা বলছে আর কে শুধু ক্ষমতার খেলা খেলছে। ফলে পুরোনো কৌশল দিয়ে আর মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব নয়।

ডাকসু নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি প্রমাণ করেছে—চাঁদাবাজি ও আধিপত্যের রাজনীতি এখন অতীত। জনগণ ও তরুণ সমাজ আজ সৎ, স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব চায়। বিএনপি যদি এই বাস্তবতা মেনে নিজেদের সংশোধন না করে, তবে জাতীয় নির্বাচনের মাঠেও একই রকম ভরাডুবি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।