আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে দলটি

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

মাসুদা আক্তার: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করার নানা পন্থা অবলম্বন করছে দলটি ও তাদের গোপন সংগঠকরা। ক্ষমতা হারানোর পর নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে এবং নতুন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে তারা বিভিন্ন গোপন কৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের একটি অংশ এখনো প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও ব্যবসায়িক অঙ্গনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা গুপ্তভাবে আন্দোলনের নামে নাশকতা, গুজব ছড়ানো, এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি তৈরির মাধ্যমে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

একইসঙ্গে পুরনো সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভাব ব্যবহার করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বাধা সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং অর্থনৈতিক খাতে অচলাবস্থা তৈরি করাও তাদের কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থানরত দলীয় প্রবাসী নেতারাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে—যার উদ্দেশ্য একটাই, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড দীর্ঘ মেয়াদে দেশের রাজনৈতিক স্থিতি, বিনিয়োগ পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তারা বলেন, বিরোধী রাজনীতি গণতন্ত্রের অংশ, কিন্তু দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশের জনগণ এখন স্থিতি ও উন্নয়ন চায়, অরাজকতা নয়। তাই যে কোনো দল বা গোষ্ঠী যদি গুপ্তভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি। স্থিতিশীল বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্য ও সততার বিকল্প নেই।