মোঃ হায়দার হোসেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির এক সময়কার প্রভাব ও শক্তি আজ বিলীন প্রায়। দীর্ঘদিনের ভুল সিদ্ধান্ত, সহিংস রাজনীতি, দুর্নীতির দায় এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে বিএনপি এখন জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন একটি দল। গণতান্ত্রিক চর্চা ও জনসম্পৃক্ততার পরিবর্তে তারা এখন শুধু ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের রাজনীতিতে আশ্রয় নিয়েছে।
বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের আন্দোলনে নেই গণজোয়ার, নেই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আছে কেবল অরাজক কর্মসূচি, উসকানিমূলক বক্তব্য এবং বিদেশ নির্ভরতা।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের পথে না হেঁটে রাজনৈতিক ফাঁকফোকর খুঁজে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সঠিক পথে এসে জনগণের আস্থা অর্জন নয়, বরং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে সুবিধা লুটে নেওয়া।
বিএনপি এখন রাজনৈতিকভাবে এতটাই কোণঠাসা যে, তারা বিদেশি লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্যান্য বিদেশি সংস্থার কাছে ধরনা দিয়ে সরকারবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত থাকাই এখন তাদের মূল “রাজনীতি”।
অন্যদিকে, বিএনপির নেতারা মাঠে নেই, কর্মীরা হতাশ, আর সাধারণ জনগণ তাদের কর্মকাণ্ডে আর আস্থা রাখতে পারছে না। তারা ঘুরেফিরে একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গেই মিলে যায়, যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না।
ষড়যন্ত্র, গুজব ও নির্বাচন বর্জনের মত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বিএনপিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। অথচ সময়োচিত আত্মসমালোচনা ও সংস্কারের পথে না গিয়ে তারা বারবার প্রতিহিংসা ও অসাংবিধানিক পথ বেছে নিচ্ছে।
জনগণের বিচ্ছিন্ন দল: বিএনপির রাজনীতি এখন শুধু ষড়যন্ত্রে নির্ভরশীল—এই শিরোনাম আজকের বাস্তবতায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল যেখানে জনগণের ম্যান্ডেটকে গুরুত্ব দেয়, সেখানে বিএনপি এখন শুধু বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সচেতনতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা এবং বিএনপির ষড়যন্ত্রবাদী রাজনীতিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা।
