ইশরাত জান্নাত নাজমিন: ছাতক ও দোয়ারাবাজারের সীমান্ত এলাকায় মনজুর আলম যেন এক আতংকের নাম। ছাতক-দোয়ারার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ করে ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাও, দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুরের চাইর গাঁও, শ্রীপুর, শামার গাও, বাংলাবাজারের জাহাঙ্গির গাও, বাঁশতলা, ভোগলাবাজার ও লক্ষীপুর এর সীমান্ত এলাকায় হওয়া চোরাচালানের সিন্ডিকেটের মূল হোতা মনজুর আলম।
সীমান্তে মনজুর আলমের এই সাপ্লাই চেইনের প্রশাসনিক হ্যান্ডেলিং এর দায়ীত্ব পালন করেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জনাব শামসূল হক নমু যিনি ১০% চাঁদার বিনিময়ে নিরবিচ্ছিন্ন সাপ্লাই নিশ্চিত করেন। এই চোরাচালানে সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো প্রতি রাতে এক হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতিটি এলাকার ছেলেদের সম্পৃক্ত করা হয় যাতে সাপ্লাইয়ে কোন সমস্যা না হয়। এতে উঠতি বয়সী যুবকেরা হুমরি খেয়ে পেড়ে। তারা পড়ালেখার পরিবর্তে চোরাচালান সাপ্লাইয়ে জড়িয়ে পড়ে। এবং চোরাচালানে মাদক সাপ্লাই অন্যতম।
মাদক সাপ্লাইয়ের ফলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের হাতে তুলে দেয়া হয়। যার ফলে উক্ত এলাকরা অধিকাংশ কিশোর মাদক সেবনে জড়িয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে। নাম মাত্র মূল্যে অবৈধ ইন্ডিয়ান নামি দামি ব্রান্ডের মোটরসাইকেল চালাচ্ছে এবং পড়ালেখার পরিবর্তে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এলাকার বসবাসের পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সম্প্রতি ইসলামপুরে মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে একজন নিরীহ মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। এই প্রতিটি ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আছেন মনজুর আলম।
