বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা চায়, গণতন্ত্র নয়

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

মোঃ হায়দার হোসেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে “আন্দোলন” শব্দটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হলেও, বিএনপির ক্ষেত্রে এর ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা আন্দোলনের নামে বাস্তবে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

গণতন্ত্র মানে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশ, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং আইন-শৃঙ্খলা মেনে প্রতিবাদ। অথচ বিএনপি বারবার নির্বাচন বর্জন করে সহিংস আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা চায় না জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হোক, বরং চায় সরকার পতনের নামে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট হোক।

২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। মানুষ জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে, রেলপথ কাটা হয়েছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়েছে, পেট্রোল বোমায় পুড়েছে গণপরিবহন। এসব ঘটনার দায় বিএনপি অস্বীকার করলেও প্রমাণিত সত্য এটাই—এইসব ছিল পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলার অংশ।

বিএনপি প্রতিবার নির্বাচনের আগে “নিরপেক্ষ সরকার” ইস্যুকে সামনে এনে সংলাপ নয়, সংঘাতের পথে হেঁটেছে। তাদের বক্তব্য, কর্মসূচি ও কার্যক্রমে কোথাও গণতন্ত্রের চর্চা দেখা যায় না—আছে কেবল হুমকি, উসকানি আর ষড়যন্ত্র।

তাদের আন্দোলন মানেই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ, জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতি এবং বিদেশি শক্তিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে টেনে আনার অপপ্রয়াস। এর ফলে গণতন্ত্র নয়, বরং সুশাসনের ভিত নড়ে যায়।

বর্তমানে বিএনপির আন্দোলনের কৌশলে নেই জনসম্পৃক্ততা বা গণভিত্তি। তারা মিডিয়া-নির্ভর প্রচারে ব্যস্ত, অথচ মাঠে সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ নেই। এর অর্থ—জনগণ বিএনপির অগণতান্ত্রিক মনোভাব ও নৈরাজ্যকর রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা চায়, গণতন্ত্র নয়—এই শিরোনাম বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। গণতন্ত্র রক্ষায় জনগণকে বিএনপির ভণ্ডামি, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ও ক্ষমতালোভী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।

Leave a Reply