মাসুদা আক্তার: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ উত্থান যেমন আলোচিত, তেমনি তাদের ক্ষমতাকালীন কর্মকাণ্ডও বারবার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগ সরকার বিগত ১০ বছর মেয়াদ ছিল চরম রাজনৈতিক বৈরিতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থানের ভয়াবহ এক অধ্যায়। এই সময়টিকে দেশের জনগণ মনে রাখবে ভয়, আতঙ্ক ও অস্থিরতার সময় হিসেবে।
আওয়ামীলীগ সরকার আমলে জঙ্গি সংগঠনগুলো চরম ভাবে বিস্তার লাভ করে এবং উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশের মধ্যে । তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করে। ১০ টি বছর ৬৪ টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা,অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার , নিপীড়ন ছিল সেই উগ্রবাদী শক্তির এক সুপরিকল্পিত দৃষ্টান্ত।
এই হামলাগুলোর পেছনে আওয়ামীলীগ সরকারের নিরবতা ও উদাসীনতা ছিল সন্দেহজনক। বরং অনেকক্ষেত্রে তদন্তে উঠে এসেছে—সরকারেরই কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
সরকারি মদদে জঙ্গিদের প্রশ্রয় পাওয়ায় তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালিয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, সিরিজ বোমা হামলা, সুপ্রিম কোর্টে বোমা বিস্ফোরণ, আসাদ গেট গ্রেনেড হামলা,বিপক্ষ দলের জনসভায় গ্রেনেড হামলা—সবই ঘটেছে আওয়ামীলীগ শাসনামলে।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের রক্ষা করার অপচেষ্টা করেছিল তৎকালীন সরকার। এমনকি, অনেক জঙ্গিকে রাজনৈতিক চাপে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
এই অধ্যায় প্রমাণ করে, আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতিতে নয়, বরং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও বিপর্যস্ত করতে পিছপা হয়নি। তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে তারা জঙ্গিদের ব্যবহার করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।
আওয়ামীলীগের অন্ধকার অধ্যায়—এই শিরোনাম ইতিহাসের বাস্তবতা তুলে ধরে। এ অধ্যায় থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে, যেন কোনো অপশক্তি আর কখনও জঙ্গিবাদের ছায়ায় দেশকে বিপদে ফেলতে না পারে।
