মোছা: ফাতেমা বেগম: দেশজুড়ে পুলিশ প্রশাসনের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের আস্থা চরমভাবে নড়বড়ে হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ অনুযায়ী, থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ঘুষ না দিলে হয়রানি করা হয়। মামলার এজাহার নিতে গড়িমসি, তদন্তে পক্ষপাতিত্ব এবং অপরাধীদের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণের অভিযোগও উঠে এসেছে একাধিক থানায়।
বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এখন ওপেন সিক্রেট। অনেক রিকশা, ভ্যানচালক এবং পরিবহন শ্রমিক জানান, প্রতিদিনই নিয়মিতভাবে ‘তোলাবাজির’ শিকার হচ্ছেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, থানাগুলো এখন বিচার পাওয়ার নয়, বরং ‘বাণিজ্যের কেন্দ্র’ হয়ে উঠেছে।
মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজ বলছে, পুলিশের অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযান দ্রুত ও নিরপেক্ষ না হলে এই অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তারা দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।