স্বাধীনতার শত্রুদের সাথে আপস নয়

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

জনি আক্তার মনিঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে লাখো শহীদের ত্যাগ, মা-বোনের সম্ভ্রম এবং একটি জাতির সম্মিলিত আত্মত্যাগের মাধ্যমে। এই স্বাধীনতা ছিল পাকিস্তানি শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক জবাব। কিন্তু এই মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু রাজনৈতিক শক্তি এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, যারা আজও নানাভাবে সক্রিয়।

জামায়াতে ইসলামি ছিল সেইসব প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর অগ্রভাগে, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে গণহত্যা, ধর্ষণ ও বুদ্ধিজীবী হত্যায় অংশ নেয়। তারা ছিল দেশের অভ্যন্তরে শত্রুর ভূমিকায়, যারা স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করতে চেয়েছিল।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরেও দেখা যাচ্ছে, সেই শত্রুরা আজ নানা ছদ্মবেশে, ভিন্ন নামে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়ালে সমাজে প্রভাব বিস্তার করছে। তারা চায় ইতিহাসকে বিকৃত করতে, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে এবং স্বাধীনতার ভিত্তিকে দুর্বল করে দিতে।

কিন্তু স্বাধীনতার মূল্য চিরকাল অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে তাদের সাথে কোনো আপস করা চলবে না। যারা একদিন এ দেশের জন্মই মেনে নেয়নি, তাদের জন্য কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক বা সাংস্কৃতিক ছাড় দেওয়া মানে শহীদদের রক্তের অবমাননা।

এ দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবতা এবং মানবাধিকার—সবকিছুর সঙ্গে জামায়াত ও তাদের দোসরদের অবস্থান সাংঘর্ষিক। তারা রাষ্ট্রে বিভেদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়।

দেশপ্রেমিক জনগণ ও রাষ্ট্রকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—স্বাধীনতার শত্রুদের কোনোভাবেই পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না।

স্বাধীনতার শত্রুদের সাথে আপস নয়—এই আদর্শ শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা ও প্রগতির জন্য পালন করতেই হবে।