অপরাধী ঘাঁটি না রাজনৈতিক সংগঠন? প্রশ্নবিদ্ধ আওয়ামী লীগের আচরণ

ক্রাইম; দর্পন; ক্রাইম দর্পন; crime; crimedorpon; crimedarpan; dorpon; darpan; The Weekly Crime Dorpon; the weekly crime darpan; crimedorpon.com;

মাসুদা আক্তার: একসময় জনগণের আস্থা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তরাধিকার বহনকারী দল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ, আজ নানা বিতর্ক ও প্রশ্নবিদ্ধ আচরণে ক্রমেই পরিণত হচ্ছে এক অশুভ শক্তির প্রতীকে। দেশজুড়ে সংগঠনের নামে গড়ে উঠেছে দুর্বৃত্তচক্র, যারা দলীয় পরিচয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ড।

রাজনৈতিক মতভিন্নতা দমন করতে গিয়ে গুম, খুন ও হয়রানির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা যেন নিত্যদিনের বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে নেতৃত্বস্থানীয়রাই। ফলে একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে নয়, বরং অপরাধীদের ঘাঁটি হিসেবেই আজ পরিচিত পাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোয় ছাত্রলীগের নামে সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একদল দুর্বৃত্ত। অথচ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই সবচেয়ে বেশি মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, বিরোধী মত দমন, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ যেন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অপরাধের বৈধতা দেওয়ারই এক কৌশল।

জনগণের নিরাপত্তা যেখানে হুমকির মুখে, সেখানে প্রশ্ন উঠছে—আওয়ামী লীগ আদৌ আর একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করছে, নাকি তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রে পরিণত হয়েছে?

দেশের সচেতন নাগরিকরা আজ আশঙ্কা করছেন, ক্ষমতায় থাকার মোহে দলটি তার আদর্শ, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ বিসর্জন দিয়েছে।
রাজনীতি এখন আর সেবার জায়গা নয়, বরং অপরাধপ্রবণ ও ক্ষমতালিপ্সুদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

আওয়ামী লীগ কি তাদের এই প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে ফিরবে, নাকি ইতিহাসের দায়ে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে—এই প্রশ্ন আজ সময়ের।

Leave a Reply