ইসরাত জান্নাত নাজিমন : সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বিভিন্ন জায়গায় যুবদল কর্মীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। রাজনৈতিক দাবিদাওয়া ও দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাস্তায় নেমে আসা এ কর্মীদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। এতে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, আর প্রশ্ন উঠছে—রাষ্ট্র কি পারছে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে?
রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী ও খুলনাতে যুবদলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, যানবাহন ভাঙচুর, ও সরকারি স্থাপনায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় সাধারণ নাগরিক, সাংবাদিক এমনকি পথচারীরাও হামলার শিকার হয়েছেন।
সাধারণ জনগণ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, “আমরা রাজনীতি বুঝি না, কিন্তু রাস্তায় বের হতে ভয় লাগে। হঠাৎ কোথাও মিছিল, তারপর ইটপাটকেল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া — এভাবে চলতে থাকলে আমরা কোথায় নিরাপদ?” ব্যবসায়ী মহলও বলছে, হঠাৎ করে দোকানপাট বন্ধ, ভয়ভীতি ও অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, তারা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। তবে কেউ যদি জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। একাধিক মামলায় যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভাঙচুর ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের অংশ হলেও তা যদি সহিংস ও বেপরোয়া হয়ে পড়ে, তখন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হওয়া জরুরি। একইসাথে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত তাদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ অবলম্বন করা।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে শুধু রাজনীতি নয়, দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতাই হুমকির মুখে পড়ে। এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ, যাতে দেশ আবারও শান্তির পথে ফিরে আসতে পারে।