মাসুদা আক্তার: বাংলাদেশ আজ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা কোথায় হারিয়ে গেল? আজ দেশজুড়ে একটাই দাবি – **”আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো!”এই দাবি শুধু রাজনৈতিক দলের নয়, এদেশের প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠের ধ্বনি।
কেন এই দাবি?
১. গণতন্ত্রের কবর রচনা:
- ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা দখল করেছে।
- বিরোধী দলের র্যালি, সমাবেশ নিষিদ্ধ, নেতাকর্মীদের জেলে পুরে গণতন্ত্রকে পঙ্গু করা হয়েছে।
২. দুর্নীতির মহাযজ্ঞ: - পদ্মা সেতু থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প – প্রতিটি মেগা প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ।
- ব্যাংক লুট, ঋণখেলাপিদের রক্ষা, সাধারণ মানুষ আজ রক্তশূন্য।
৩. অর্থনীতির ধ্বংসস্তূপ: - ডলারের দাম আকাশছোঁয়া, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে পণ্যমূল্য অগ্নিশর্মা।
- যুবসমাজ আজ বেকারত্বের অন্ধকারে, দেশ ছাড়ছে লাখো তরুণ।
৪. মৌলিক অধিকার হরণ:
- সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, সাংবাদিকরা হয় জেলে নয়তো মামলার ভয়ে।
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের থাবা।
আমাদের প্রতিবাদ:
- **রাস্তায় নামো: আমরা যদি আজ চুপ করে থাকি, কাল আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
- **সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হও:#আওয়ামীলীগনিষিদ্ধকরো ট্রেন্ড করো, বিশ্বকে জানাও বাংলাদেশের বাস্তবতা।
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ:
- জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি’র কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণের খবর পৌঁছে দাও।
সরকারের জবাবদিহিতা চাই:**
- স্বাধীন তদন্ত:** সকল দুর্নীতির ঘটনার স্বাধীন তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।
- নির্বাচন কমিশন গঠন:অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
- রাজবন্দীদের মুক্তি:সকল রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
বাংলাদেশ আমাদের প্রাণের দেশ, এদেশকে আমরা ডুবে যেতে দেব না। “আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো”** – এই স্লোগান আজ আমাদের সংগ্রামের হাতিয়ার। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।